বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

বুয়েটের সাবেক ১৯ শিক্ষককে নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক তিন উপাচার্যসহ অবসরপ্রাপ্ত ১৯ শিক্ষককে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ও পেনশন সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি ও বুয়েটের লিভ টু আপিল খারিজ করে বুধবার (৮ আগস্ট) রায় দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

আদালতে ১৯ শিক্ষকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন, আইনজীবী তবারক হোসেইন ও ব্যারিস্টার উর্মি রহমান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ।

পরে ব্যারিস্টার উর্মি রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অবসরের পর পিআরএল ও পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত বুয়েটের ১৯ শিক্ষক গত বছর আলাদা তিনটি রিট করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।

হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শিক্ষকদের প্রাপ্য পিআরএল ও পেনশন সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আলাদা লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে বুয়েট ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বুধবার লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ফলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তাদের প্রাপ্য পিআরএল ও পেনশন সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকছে বলে জানান উর্মি রহমান।

১৯ শিক্ষককের মধ্যে সাবেক উপাচার্য ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম ও প্রফেসর সাহেদা রহমান এবং শিক্ষক ড. মো. মোহর আলী ও ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী পাবেন কেবল পেনশন সুবিধা।

এছাড়া সাবেক উপাচার্য ড. মো. মাজহারুল হকসহ শিক্ষক ড. মো. মীরজাহান মিয়া, ড. আমিনুল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ড. সারওয়ার জাহান, ড. শহিদুল ইসলাম খান, ড. মো. ওবায়েদ উল্লাহ, ড. মো. জয়নুল আবেদিন, ড. মো. আব্দুর রউফ, ড. মো. রিফায়েত উল্লাহ, ড. নিলুফার ফরহাত হোসাইন ও ড. নজরুল ইসলাম, ড.কামরুল ইসলাম, ড.এম এম শহীদুল হাসান ও ড.কামরুল আহসান জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী দুই বছরের বেতন পাবেন।