‘গায়েবি’ মামলা নিয়ে রিটের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার

বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ‘গায়েবি’ মামলার তদন্ত বন্ধে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা না করা- সংক্রান্ত নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এ মামলায় রিটকারীদের পক্ষে শুনানি শেষ হলেও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করবেন বলে মামলার কার্যক্রম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মানিক।

এর আগে এই রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন। এর ফলে নিয়ম অনুসারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। পরে প্রধান বিচারপতি মামলাটির শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট এ কে খান। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লাহ্ মিয়ার পক্ষে এই রিট দায়ের করা হয়।

রিটে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা চার হাজার মামলা এবং তিন লাখের বেশি লোককে আসামি করার কারণ জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এ ছাড়া, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যত গায়েবি মামলা হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত বন্ধ এবং গায়েবি মামলাগুলোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে যেন এ ধরনের মামলা দেয়া না হয়, তার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলের অগণিত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশি ক্ষমতা অপব্যবহার করে গায়েবি বা আজগুবি মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রিটে সে বিষয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিএমপি রমনা জোনের ডেপুটি ও অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার, রমনা, পল্টন ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মোট নয়জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।