ইভিএমে ভোট চেয়ে আন্দালিভের রিট খারিজ

ভোলা-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ভোলা-১ আসনের প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ চলতি সপ্তাহে ইভিএমে ভোট গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।

আদালতের এ আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। নির্বাচনপদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের বিষয়, যা রিট আবেদনে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। তাই এই দিক বিবেচনা করে আদালত এটি খারিজ করেছেন।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ভোলা-১ আসনে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেন আন্দালিব রহমান পার্থ। ইভিএম ব্যবহারের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যয় বহন করতেও রাজি আছেন বলে পার্থ তার চিঠিতে উল্লেখ করেন।

নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ’২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও ভোলার জনগণের দাবিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ভোলা সদর আসনে ইভিএম পদ্ধতির জন্য জোর অনুরোধ জানাচ্ছে। অন্যথায়, এটা আমার এবং আমার নির্বাচনি আসন ভোলা-১ (সদর) এর জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হবে, যা কিনা বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ২৭-এর পরিপন্থী।’

কিন্তু ওই চিঠির কোনও জবাব না পেয়ে আন্দালিব রহমান পার্থ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। আসনগুলো হলো ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২, রংপুর-৩ ও সাতক্ষীরা-২।