প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার কমিশনার

সিইসি ও চার কমিশনারের নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নে রিট খারিজ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার কমিশনারের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক টুটুল।

পরে একরামুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে বলেন, রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে স্বাভাবিক নিয়মেই সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা দায়িত্ব পালন করবেন ও কাজ চালিয়ে যাবেন।

এর আগে, নভেম্ববের শেষ সপ্তাহে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন। রিট আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছিলো।

তখন রিটকারীর আইনজীবী ইউসুফ আলী জানান, সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন প্রণয়ন করে এর বিধান সাপেক্ষে সিইসিসহ চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে। অথচ এখনো কোনো আইন ও বিধান হয়নি। এসব ব্যতিরেখে সিইসিসহ অপর নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে এবং এই সংবিধান ও আইনের অধীনে হবে। স্বাধীন দায়িত্ব পালনের পূর্বাভিজ্ঞতা ব্যতিরেখে সিইসি হিসেবে কেএম নূরুল হুদাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।