ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

বিচারপতি রেফাত আহমেদ কি বিএনপিকে দায় পরিশোধ করলেন?

ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল : 

বিএনপি খালেদা জিয়ার দণ্ড ও সাজা দুটোকেই দুই স্তরের আদালতের ফরমায়েসী রায় বলে প্রতিনিয়ত আদালত অবমাননা করে। তারা আমাদের ট্রায়াল আদালত, উচ্চ আদালত দুটোকেই প্রতিনিয়ত গালমন্দ করে দেদারসে। এই প্রেক্ষিতে এখন যদি বলি গতকাল খালেদা জিয়ার নির্বাচনের রীট কে ঘিরে যা হল একে কি আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বললে সমালোচিত এবং আদালত অবমাননার দায়ে কোর্টে ডাক পাবো? পেলেও করার কিছু নেই, তথ্য ভিত্তিক সমালোচনা আমার সাংবিধানিক অধিকার। তাই সমালোচনা করবো। ভয় পাওয়ার কিছু নাই। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ যা করলেন তাতে সন্দেহ আছে তিনি রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত কিনা। তার বাবা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ জন ছিলেন, বিএনপি কোটায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। সৈয়দ রেফাত আহমেদ অক্সফোর্ড শিক্ষিত, পাশ্চাত্য এক্সেন্টে ইংরেজি বলেন ঠিক, শ্রদ্ধার সাথেই বলি, তিনি বিএনপির সময় বিচারপতি মনোনীত হয়ে, বিএনপির সময়ই স্থায়ী হন। সঙ্গত কারনেই তাকে বিএনপিপন্থি বলে ধরে নেয়া যায়। তাকে প্রায়ই দেখা যায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীর এক সন্তানের সাথে সভা সেমিনার করেন। সুতরাং যৌক্তিক অভিযোগ উঠবে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি এমনিতে সজ্জন বলে পরিচিত, এগুলো সেমিনার সভা সবই করতে পারেন, কিন্তু তার বিচারপতি পদে আসার সাথে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের সম্পর্ক যেহেতু জানা গেছে, দন্ডিত আসামি খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে যোগ্য করার সিদ্ধান্তে অবশ্যই ব্যক্তিগত রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠবে। তিনি কি বিএনপিকে দায় পরিশোধ করলেন? পার্শ্ববর্তী দেশে এই ধরনের তথ্যভিত্তিক সমালোচনা সহ্য করা হয়, দেখা যাক আমাদের দেশে কি হয়।

লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক