অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী

অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমার জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

এর আগে, নিপুণ রায় চৌধুরী ও আরিফা সুলতানা রুমাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা দুই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পাশাপাশি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিকে অনুমতি দেন।

উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেফতার করা হয় হাইকোর্ট এলাকা থেকে।

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় তিনটি মামলা করা হয়। তিন মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়।

হুকুমের আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন।

দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই ১৪ নভেম্বর ওই সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান নিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। অন্যদিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষিপ্ত মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জ্বালিয়ে দেয়া পুলিশের পিকআপ ভ্যানের নম্বর ২৩১১। পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গাড়িটি ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।

ওইদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের পিকআপ ভ্যানটি জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। সংঘর্ষে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ছাড়া পাঁচজন অফিসার ও দুজন আনসারসহ মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।