বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

বরখাস্ত বিচারককে পুনর্বহালের আদেশ বাতিল

বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শ ম আবদুর রউফকে পুনর্বহাল করতে সাত বছর আগে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আপিল বিভাগের ইতিপূর্বে দেওয়া আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (রিভিউ) নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। বিচারকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও সৈয়দ মামুন মাহবুব।

আদেশের পরে বিশ্বজিৎ দেবনাথ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপিল বিভাগ আবদুর রউফকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। ইতিপূর্বে আপিল বিভাগের দেওয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।

অবশ্য আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। ফলে আবদুর রউফ আর চাকরিতে পুনর্বহাল হননি। ইতিমধ্যে তাঁর চাকরির বয়সসীমাও শেষ হয়ে গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট পেশাগত অসদাচরণের দায়ে ওই বিচারককে বরখাস্ত করা হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করলে তা নামঞ্জুর হলে, তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন আবদুর রউফ। এরপর চাকরি ফিরে পেতে ২০১১ সালে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আবদুর রউফ। ট্রাইব্যুনাল রউফকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে তামাদির কারণে ২০১২ সালে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে তা খারিজ হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা তামাদির কারণে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর খারিজ হয়। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।