সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম

ডাক-বাংলোতে আটকে রেখে তরুণী ধর্ষণ : দুই পুলিশ কর্মকর্তা ৬ দিনের রিমান্ডে

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ডাক-বাংলোতে এক তরুণীকে আটকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।

এর আগে, ধর্ষণের অভিযোগে করা তরুণীর মামলায় সোমবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর রবিবার ওই তরুণী মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রিফাত রহমান শামিমের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী দাবি করেন, তার এক খালা সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেনের কাছে প্রায় তিন লাখ টাকা পান। ওই টাকা আনতে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে খালার সঙ্গে সাটুরিয়া থানায় যান তিনি। সেখান থেকে সেকেন্দার দুইজনকে নিয়ে সাটুরিয়া ডাক-বাংলোতে যান। ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা বাংলোতে তরুণী ও তার খালাকে আলাদা ঘরে আটকে রাখেন। তরুণীকে অস্ত্রের মুখে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে তাদেরকে ডাকবাংলো থেকে বের করে দেওয়া হয়।