‘মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ: অংশীজনের দায়িত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা

আইন প্রয়োগে সংবিধান লঙ্ঘন করা যাবে না: রিয়াজুল হক

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা আইন প্রযোগের সময় যেন সংবিধান লঙ্ঘন না ঘটায় সে দিকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ: অংশীজনের দায়িত্ব’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির বাংলাদেশের সহযোগিতায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক ভালো। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা পৃথিবীর সর্বত্র প্রশংসিত। এ ধরনের হাজারও অর্জন যেন আমাদের ভুল পদক্ষেপের কারণে ম্লান হয়ে না যায়।

চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, আমরা প্রত্যেকেই যারযার দায়িত্বটুকু সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি কি-না তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে ওই এলাকার কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিগুলো সরানোর নির্দেশ দিলেও কাদের গাফিলতির কারণে বাস্তবায়ন হয়নি তা খতিয়ে দেখতে হবে।

জেলখানাগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অধিক মানুষ রয়েছে উল্লেখ করে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানিমূলকভাবে গ্রেফতারের শিকার না হন। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরই গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (জেলা ও দায়রা জজ) আল মাহামুদ ফায়জুল কবীর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশানার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ প্রমুখ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কমিশনের উপ-পরিচালক এম রবিউল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় কেএমপি এবং খুলনা জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানার ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য, আইনজীবী, বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা অংশ নেন।