মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

যুদ্ধাপরাধ : গাইবান্ধার ৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার ৯ অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনটি ভলিয়মে ১৮১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. হান্নান খান।

তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণসহ মোট চারটি অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরুর পর আজ সোমবার এ মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়। তদন্তে মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা (৮২), সেকেন্দার আলী (৬৬), আব্দুল করিম (৬৩), ইসমাইল হোসেন (৭০), আকরাম প্রধান (৬৮) ও হাফিজার রহমান (৬৪)। এছাড়া পলাতক আছেন মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ওরফে সরফ উদ্দিন খান (৬৪), সামছুল ইসলাম খান (৬৪) এবং আব্দুল মান্নান (৬৪)। ১৯৭১ সালের ১০ মে থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার কাটাবাড়ীর ইউনিয়নের ১০ নং কাটাবাড়ী ও ৭ নং কাটাবাড়ী গ্রাম এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ও বালুয়া গ্রামে আসামিরা অপরাধ সংঘটিত করে।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনা চার অভিযোগ

  • প্রথম অভিযোগ– ১৯৭১ সালের ১০ মে আসামিরা কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নং কাটাবাড়ী গ্রামের শহীদ জিয়া মন্ডল, শহীদ মনা মন্ডল ও শহীদ ওমেছ মন্ডলকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গলা কেটে হত্যা করে এবং লুণ্ঠন চালায়। এরপর শহীদ জিয়া মন্ডলের ছেলে ভিকটিম আব্দুর রশীদ, আব্দুল জোব্বার ও কাঠালবাড়ী উত্তরপাড়ার মো. আজিজার রহমানকে আটক, অপহরণ ও নির্যাতন করে।
  • দ্বিতীয় অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই আসামিরা গাইবান্ধা জেলার বালুয়া গ্রামের মো. ইউনুস আলী আকন্দের বাড়িতে তার স্ত্রীসহ মোট দুইজনকে ধর্ষণ করেন।
  • তৃতীয় অভিযোগ– ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট রাতে আসামিরা গোবিন্দগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামের শহীদ আব্দুল কাদের সরকার, শহীদ আব্দুস সোবহান আকন্দ ও শহীদ এমাদ উদ্দিন আকন্দকে আটক, অপহরণ, হত্যা ও শ্রীপতিপুর গ্রামের একজনকে ধর্ষণ করে।
  • চতুর্থ অভিযোগ– ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১ নং কাটাবাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শাহজালাল মিয়া ওরফে ঝালু মিয়াকে আটক, অপহরণ ও হত্যা করে এবং লুণ্ঠন চালায়।