ব্রুনাই

ব্রুনাইতে সমকামিতার শাস্তি ‘পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড’

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তেল সমৃদ্ধ দ্বীপরাষ্ট্র ব্রুনাইয়ের শরিয়া আইনে সমকামিতার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড যুক্ত করা হয়েছে৷ এই মৃত্যুদণ্ড আবার হতে হবে পাথর ছুড়ে ও বেত্রাঘাতে৷এপ্রিল থেকে দেশটিতে এই আইন কার্যকর হবে। মুসলিম প্রধান দেশটিতে দুইজন পুরুষের এমন সম্পর্ক প্রমাণিত হলে প্রকাশ্যে তাদেরকে এই শাস্তি ভোগ করতে হবে।

২০১৪ সালে এই আইনটি প্রণয়নের কথা ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওই আইনের সঙ্গে শাস্তির কথা ব্রুনেই অ্যাটর্নি জেনারেলের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।

ব্রুনেইয়ের এই শাস্তিকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক বর্ণনা করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই দণ্ডবিধি বাতিল করার জন্য ব্রুনেইয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ব্রুনেইকে অবশ্যই এ সব অমানবিক শাস্তির বিধান কার্যকর করা বন্ধ করতে হবে। তাদের দণ্ডবিধিকে মানবাধিকারের শর্ত মেনেই চলতে হবে। ব্রুনেই যাতে এসব পাশবিক দণ্ডবিধির বাস্তবায়ন করতে না পারে সে জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা জানানো জরুরি।’

মার্কিন অভিনেতা জর্জ ক্লুনিসহ বিভিন্ন তারকারা এমন শাস্তি বাস্তবায়ন না করতে ব্রুনেই সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সুলতানি শাসনতন্ত্রের দেশ ব্রুনাই ২০১৪ সালে শরিয়া পেনাল কোড চালু করে৷ প্রথম পর্যায়ে ব্যভিচার বা শুক্রবারের জুম্মার নামাজে অংশ না নেয়ার জন্য জরিমানা ও জেলের বিধান চালু করা হয়৷তবে শরিয়া পেনাল কোডের সবচেয়ে বড় শাস্তি হলো ব্যভিচারী, সমকামী ও ধর্ষকদের বেত্রাঘাত ও পাথর ছুড়ে হত্যা, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার কারণে চালু করতে বিলম্ব করছে ব্রুনাই সরকার৷ তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিশ্চিত করেছে যে, আগামী ৩ এপ্রিল নাগাদ এসব শাস্তি পুরোদমে চালুর পরিকল্পনা আছে তাদের৷