সর্বোচ্চ আদালত
সর্বোচ্চ আদালত

‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ কি-না জানতে ৪ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস নাকি দিনক্ষণ ঠিক করে দেওয়া হবে বা কত বছর জেলে (কারাগারে) থাকতে হবে- এ বিষয়ে আদালতে আইনি মতামত তুলে ধরতে চার আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ এমন অভিমত নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে এক আসামির আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির ওই দিন ধার্য করেন এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে চার আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন।

অ্যামিকাস কিউরি চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান ও অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চোধুরী।

রাজধানীর অদূরে সাভারের একটি হত্যা মামলার আপিলের রায়ের সময় ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাবাস’ বলে দেয়া রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মুহাম্মদ মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সাভারে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলায় আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর ও আনোয়ার হোসেন নামের দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর দেওয়া নিম্ন আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। তাদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্সও (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

পরবর্তীতে আসামিরা হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে ‘আমৃত্যু কারাবাস’সহ সাত দফা অভিমত দেন।

আপিল বিভাগের দেয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামি আতাউর মৃধা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন, যা আজ (বৃহস্পতিবার) শুনানি করা হয়।