হাইকোর্ট

ভোক্তা অধিকারের হটলাইন চালুর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে ভোক্তাদের সার্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সেবা দিতে হটলাইন চালুর বিষয়ে অগ্রগতির তথ্য আদালতে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর এ বিষয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অগ্রগতি প্রতিবেদনে তারা জানায়, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এখন আইন অনুসারে দরপত্র প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করে হটলাইন স্থাপন ও চালু করা হবে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।

পরে কামরুজ্জামান কচি বলেন, গত ২৭ আগস্টের আদেশের প্রেক্ষিতে আমরা হটলাইন চালুতে কী করেছি তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমরা টেন্ডার নোটিশ করেছি। এর মধ্যে নয়টি কোম্পানির কাছ থেকে প্রস্তাবনা পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি কোম্পানি নির্বাচন করেছি। প্রাথমিক নির্বাচনের পর ২৮ দিন সময় দিতে হয়। এরপর যাচাইবাছাই করে একজনকে পুরস্কার দেবো। আদালত বলেছেন, ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আপডেট দিতে হবে।

শিহাব উদ্দিন খান বলেন, তারা হটলাইন স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছেন। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া ও স্থাপনের কাজ শেষ করার জন্য সময় নিয়েছেন। আদালত বলেছেন, হটলাইন চালুর বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে। সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি করে এ হটলাইন চালু করতে।

এর আগে, গত ২৭ আগস্ট তিন মাসের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে নির্দেশ ‍দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এজন্য কোনো ধরনের অজুহাত ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করবেন। এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর অগ্রগতি জানাতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সে অনুসারে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এর আগে, এক আদেশে গত ১৬ জুন হাইকোর্ট দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন সেবা চালু করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ আদেশের পর ২০ আগস্ট ভোক্তা অধিকারের আইনজীবী আদালতে আবেদন দিয়ে জানান, এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামীদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের (সাব-স্ট্যান্ডার্ড) পণ্য বাজার থেকে সরাতে করা এক রিটের শুনানিতে গত ১৬ জুন ওই আদেশ দেওয়া হয়।

গত ৮ মে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’র (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ওই রিট করেন।