৬৫ বছরের পুরনো মামলার রায় দিয়ে বিচারপতি বললেন, ‘তখন জন্মই হয়নি আমার’!
কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতায় বিয়ে থেকে ব্যবসা, গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হবে মধ্যস্থতায়

বিবাহ সম্পর্কিত সমস্যা হোক বা ব্যবসায়িক সমস্যা, দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবার সরাসরি মেডিয়েশন বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে। এমনটাই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। কলকাতা হাইকোর্টে একটি সাংবাদিক সম্মেলন বুধবার (২০ নভেম্বর) তিনি জানান দীর্ঘমেয়াদি মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এই মেডিয়েশনের মাধ্যমে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের (Kolkata 24×7) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা ভারত জুড়েই চালু হয়েছে এই পদ্ধতি। এখন তিনটি জেলা দিয়েই শুরু করা হবে। কলকাতা, উত্তর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এই তিনটি জেলার প্রথম চালু হতে চলেছে। লোক আদালত বা আর্বিট্রেষণের মতো নয়। মামলার শুরুতেই বিবাদী ও বাদী পক্ষকে প্রস্তাব দেবে আদালত। তারা সম্মতি দিলে সমাধানের পথ তৈরি করবেন বিচারকরা। তবে এক্ষেত্রে হার জিতের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানান বিচারপতি ট্যান্ডন।

নতুন কমার্শিয়াল আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। সব কমার্শিয়াল সমস্যা ব্যবসায়িক বিবাদ মীমাংসার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের একটি প্যানেল তৈরি হয়েছে বিবাদমান সংস্থাগুলি সরাসরি এই প্যানেলের দ্বারস্থ হতে পারবেন। আর আদালতে গিয়ে মামলা করার হ্যাপা পোয়াতে হবে না।

ব্রিটেনসহ অন্যান্য বহু দেশে হাজার ১৯৮০ সাল থেকে এই পদ্ধতিতে বিবাদ মীমাংসা করা হচ্ছে। এর ফলও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এটি একটি অভিনব ধারণা। এই পদ্ধতিতে বিচারে মধ্যস্থতাকারী প্যানেল পক্ষের বক্তব্য শুনে যে মীমাংসা করবেন। তারপরে সংস্থাগুলোকে আর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় না ফলে আদালতের চাপ কমে। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিবাদের মীমাংসার জন্য বিভিন্ন দেশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মামলাকারী বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিচারপতির আবেদন তারাও এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন মীমাংসার চেষ্টা করবেন। কমার্শিয়াল আদালতে আবেদন জানাতে পারবেন।