১২ কোটি টাকা ফি: আইনজীবীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঊচ্চ আদালত

পরীক্ষা ছাড়াই আইনজীবী: বিচারপতির ছেলের বিরুদ্ধে রিট শুনানির জন্য গ্রহণ

আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করা হলে তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘মামলাকারী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে এ আবেদন করেছে।’

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

তবে এর আগে হাইকোর্টের দুটি পৃথক বেঞ্চ এ রিট আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ ও অপারগতা প্রকাশ করেন। গত ২১ নভেম্বর ওই গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ গত ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার গেজেট প্রকাশ করা হয় গত ৩১ অক্টোবর।

তাই রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

সে সময় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানান, একজন আইনের ডিগ্রিধারীকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের রুল ও অর্ডারের বাইরে গিয়ে কোনোরকম পরীক্ষা ছাড়াই হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের রুলস এবং অর্ডারের লঙ্ঘন। তাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

রিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিলের সচিব ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে বিবাদী করা হয়।