চা দোকানে কথা কাটাকাটির জেরে গুলি করে হত্যা, আসামীর মৃত্যুদন্ড
মৃত্যুদণ্ড (প্রতীকী ছবি)

এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিক হত্যায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল

বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ফলে এ মামলায় একজনের ফাঁসি ও দুজনের যাবজ্জীবন এবং আরেকজনকে তিন বছরের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া রায় বহাল থাকলো।

আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- শাকিল শিকদার। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুই আসামি- আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে আলী সরকার নাহিদ ও মো. ফোরকান। অন্য আসামি মো. খোকনকে ভিকটিমের মোটরসাইকেল চোরাই মাল হিসেবে গ্রহণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিহত আতিকুল ইসলাম এনটিভির ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো ২০০৯ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার সময় এনটিভিতে কাজ শেষ করে তার লাল রংয়ের ডিসকভারি মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফেরার পথে ঢাকার টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের ২০ গজ আগে তালতলা গলির ভেতর জনৈক বাবুলের চায়ের দোকানের সামনে আসলে সন্ত্রাসীরা আতিকুলকে পরপর দুটি গুলি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

জনৈক পথচারী জাফর ও টিটু উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত সাড়ে ১০টায় মারা যান তিনি।

ঘটনার পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের ঘটনা তদন্ত করে ওই বছরের ৯ আগস্ট আব্দুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ, মো. খোকন, মো. শাকিল শিকদার ও ফোরকানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১০ সলের ৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ২৪ জুন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন।