ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদ এবং দুদক লোগো

ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

৩ কোটি ৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) বজলুর রশীদকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

এদিন আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আদালত বজলুর রশীদের জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার নথিসহ তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। অবকাশকালীন ছুটির এক সপ্তাহ পর এই রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ডিআইজি বজলুর রশীদ অবৈধ সম্পদের অর্থ থেকে রাজধানীর সিদ্বেশ্বরীতে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। এবিষয়ে সম্মিলিত ঢাকা জেলা কার্যালয় ১-এ দুদক উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।

পরে, ২০ অক্টোবর দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিন আদালতে হাজির করা হলে বজলুর রশীদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।