চিত্রনায়ক শাকিব খানের ভবন নির্মাণের জন্য রাখা ইট-বালু এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তিনি এগুলো অব্যবস্থাপনায় রেখে বায়ুদূষণের সৃষ্টি করছিলেন। এছাড়া অভিযানে তার ভবনটিকে ঘিরে রাখা টিনের বেড়াও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নিকেতনে বায়ুদূষণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে (ডিএনসিসি)। এতে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
নিকেতন এলাকার ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ৮ নম্বর রোড থেকে অভিযানটি শুরু করা হয়। এলাকাটিতে নির্মাণাধীন ভবণের সামনে ইট, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে পরিবেশ-বায়ু দূষণ হচ্ছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে নামে ডিএনসিসি।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট এবং অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহীদ হাসান।
অভিযানের একপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিকেতনের ‘ব্লক ই’ এর রোড ৬ এর ১ নম্বর হোল্ডিংয়ে নির্মাণাধীন বাসার সামনে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এমন ইট-বালু দেখতে পান। পরে সঙ্গে সঙ্গে ডিএনসিসির গাড়ি দিয়ে এসব গুঁড়িয়ে দেন। এসময় নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনটি ঘিরে রাখা টিনের বেড়াও ভেঙে যায়।
পরে জানা যায়, নির্মাণাধীন ওই ১০তলা ভবনটি শাকিব খানের মালিকানাধীন।
এ বিষয়ে ভবনটির কেয়ারটেকার মনির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে যদি এসব ইট-বালু না রাখা যায়, তাহলে কোথায় রাখবো? এসব তো ভেতরে ঢোকানোর সুযোগ দিতে হবে। কাজ করতে দিতে হবে তো! সিটি করপোরেশন কোনো সুযোগ না দিয়ে এগুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে গেলো। নির্মাণাধীন এই বাড়িটির মালিক নায়ক শাকিব খান। সিটি করপোরেশন যদি আমাদের সুযোগ দিতো, তাহলে আমরা এসব ইট-বালু ভবনের ভেতরে নিয়ে নিতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগই দিলো না।
তবে শাকিব খানের এই ভবনে অভিযান এবারই প্রথম নয়। এর আগে এই ভবনে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছিলেন রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিতর্ক আছে ভবনটির সার্বিক বিষয় নিয়ে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ নভেম্বর এই ভবনে অভিযান চালিয়েছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তপক্ষ (রাজউক)। সে সময় নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে দেখে শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।