নাটোরে নদী থেকে বালু উত্তোলন, সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আদালত

ঝালকাঠিতে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন

ঝালকাঠিতে ২০০৫ সালে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- ঝালকাঠির বিকনা গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া (৪২) এবং বৈদারাপুর গ্রামের ফরিদ হাওলাদার (৫০)। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সিরিজ বোমা হামলার দুই মামলার একটিতে আসামিদের বিস্ফোরক আইনের পৃথক দুটি ধারার যাবজ্জীবন ও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাসির উদ্দিন ও মোমিন উদ্দিন খলিফা।

মামলার নথি ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি শহর ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় পর পর পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। একই সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা আইনজীবী সমিতি, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর ও বিকনা টেম্পোস্ট্যান্ডে।

এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাব আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। মামলায় আহত অবস্থায় আটক ফরিদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জেএমবির সদস্য জিয়াউর এবং আহত অবস্থায় আটক রিকশাচালক ফরিদকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় দেশের ৬৩ জেলার গুরুত্বপূর্ণ ৪৫০টি স্থানে প্রায় পাঁচ শ বোমার বিস্ফোরণ ঘটান জঙ্গিরা। এই হামলায় নিহত হন দুজন এবং আহত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ১৬১টি মামলা হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে বিচারক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালান জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে ও সোহেল আহম্মদ।