সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির
বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির

দুদকের বরখাস্ত পরিচালক এনামুল বাছিরের পদোন্নতি প্রশ্নে রুল খারিজ

পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের পদোন্নতি প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি পেতে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটের পর গত ২ জানুয়ারি কেন তাকে প্রমোশন দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন। পরে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন যে, দুদকের আটটি মহাপরিচালক পদের মধ্যে একটি তার জন্য খালি রাখতে।

এর মধ্যে গত ১১ জুলাই খন্দকার এনামুল বাছিরের জন্য মহাপরিচালক পদ খালি রাখতে আগের দেওয়া আদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট।

রায়ের পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একটি ফৌজদারি মামলা চার্জশিট হয়েছে। এমনকী তাকে বরখাস্তও করা হয়েছে। তাই এখন তার প্রমোশনের প্রশ্নই আসে না। আদালত আজ রুলটি খারিজ করে দিয়েছেন।

গত বছরের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, খন্দকার এনামুল বাছির কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন তার অবৈধভাবে অর্জিত ৪০ লাখ টাকা। গোপন করেছেন ঘুষের ওই টাকার অবস্থান। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।

এ মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত।