আইনজীবী সনদের দাবীতে সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষানবিশদের অবস্থান কর্মসূচি

চাকরি কিংবা ভাতা নয়, সনদ চান শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা

দেশের আইনজীবীদের স্বীকৃতি দেয়া একমাত্র সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে ২০১৭ ও ২০২০ সালের প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবার সনদের দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অস্থায়ী কার্যালয়ের বোরাক টাওয়ারের সামনে ও সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা উপস্থিত হন।

তাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করা অথবা লিখিত ও ভাইভা উভয় পরীক্ষা মওকুফ করে, ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশ করে সনদ দেয়া।

শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বলছেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বিলম্ব পরীক্ষা নেয়ার জন্য একমাত্র দায়ী। তারা ইচ্ছা করলে প্রতিবছর পরীক্ষা সম্পন্ন করে আইনজীবী তালিকাভুক্ত করতে পারে। তাদের গাফিলতিতে ঝরে যাচ্ছে বহু আইনের ছাত্র। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ একটি রায়ও দিয়েছেন, প্রতিবছর একটি করে পরীক্ষা নেয়ার জন্য। বার কাউন্সিল আপিল বিভাগের রায়কে অমান্য করে এই রায়কে অপমান করছেন। এই রায় পালন করে অনতিবিলম্বে দুর্যোগের এই ক্রান্তিলগ্নে গেজেট প্রকাশ করে সবাইকে আইনজীবী তালিকাভুক্ত করার আবেদন জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো

  • সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বাস্তবায়ন, প্রতিবছর ক্যালেন্ডার ইয়ারের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করা।
  • ২০১৭ ও ২০২০ সালের প্রিলি পাসদের গেজেটের মাধ্যমে আডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত করা।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা গ্রহণ না করে আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি জানান তারা।

এর আগে গত ৩০ জুন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতি এই আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

ইতোপূর্বে গত ৬ জুন শিক্ষানবিশরা ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা মওকুফ চেয়ে গেজেট করে সনদ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও আইন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন। এরপর গত ৯ জুন বিনা পরীক্ষায় সনদ দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও অবগত করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে (ডিসি) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

এসব পদক্ষেপ নেয়ার পরে আরও তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনও বার কাউন্সিল কর্তৃক দৃশ্যমান কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। তাই তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বলে আজ জানিয়েছেন।