চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, রাঙ্গামাটি

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির না করলে আইনি ব্যবস্থা

আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের সময় থেকে চব্বিশ (২৪) ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে আদেশ জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাঙ্গামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অব দি পিস এ.এন.এম. মোরশেদ খান এমন আদেশ জারি করেন। আইন প্রয়োগ ও বৈচারিক প্রক্রিয়াগত শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রাখার উদ্দেশ্যে জনস্বার্থে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫ ধারা অনুবলে জাস্টিস অব দি পিস -এর কর্তৃত্ববলে রাঙ্গামাটি জেলার সর্বত্র এ আদেশ জারি করা হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত যে কোন ব্যক্তিকে তাঁর গ্রেপ্তারের সময় থেকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ ও ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬১ ধারার বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট গ্রেপ্তারকারী পুলিশ বা অন্য যে কোন কর্তৃপক্ষ আইনগতভাবে বাধ্য। এক্ষেত্রে কেবল গ্রেপ্তারের স্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বাদ দেওয়ার আইনগত অনুমোদন রয়েছে।

কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করার চালানপত্রে তাঁর গ্রেপ্তারের স্থান এবং সময় উল্লেখ করা হচ্ছে না। এতে আইনে উল্লেখিত চব্বিশ ঘণ্টার হিসাব নির্ণয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ যেমন রয়েছে, তেমনি সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে প্রদত্ত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির অনুকূলে সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের পথ উন্মুক্ত করছে। কোন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন না করার কোন সুযোগ নেই এবং এ ক্ষেত্রে কোন কর্তৃপক্ষীয় অফিস আদেশ (যদি থাকে) কিংবা বিধির (যদি থাকে) অযুহাত নেওয়ারও অবকাশ নেই, কেননা তাতে সংবিধান ও সার্বোভৌম সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের লঙ্ঘন ঘটবে বলেও আদেশে বলা হয়।

আদেশে রাঙ্গামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধিক্ষেত্রধীন কোন স্থান থেকে গ্রেপ্তারকৃত যে কোন ব্যক্তির বিষয়ে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ও ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা অমান্য করা হলে, অমান্যকারী পুলিশ কিংবা অন্য কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সকলকে এ সংক্রান্ত সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আদেশ প্রদান করা হয়। অন্যথায় এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান ও আইনের বিধান প্রতিপালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে এবং জেলার জাস্টিস অব দি পিস -এর আদেশ অমান্যের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।