সাবরিনা-আরিফুলসহ ৮ জনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড
আদালতে চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। (পুরনো ছবি)

দুই এনআইডির মামলায় জামিন মেলেনি সাবরিনার

তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ডা. সাবরিনার পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সাইফুজ্জামান (তুহিন)।

রাষ্ট্রপক্ষে সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাঝহারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাবরিনার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ পিছিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস সাবরিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৩১ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তার দু’টি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।