নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা (ছবি : বুড়িগঙ্গা)

নদী রক্ষায় আদালতের রায় যথাযথ বাস্তবায়ন চান আইনজীবীরা

আদালতের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নদী রক্ষায় দখল ও দূষনকারীদের ব্যাংক ঋণ বন্ধ ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।

‘ভাইরাসমুক্ত বিশ্বের জন্য চাই দূষণমুক্ত নদী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বজুড়ে পালিত হলো বিশ্ব নদী দিবস। এবার নদী দিবসে সারাবিশ্বে প্রায় এক হাজার কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নদী রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রোববার বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালিত হয়।

দেশে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাডভোকেট ইমরুল কাওসার, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মামুন আলিম, অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহিন আরা লাইলি, অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ ও অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা ঢাকার চার নদী রক্ষায় ২০০৯ সালের রায়, বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধে ২০১১ সালের রায়, কর্ণফুলি নদী রক্ষার ২০১৬ সালের রায়, তুরাগসহ সকল নদীর জীবনসত্ত্বা ঘোষণা করে ২০১৯ সালের রায়সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক নদী, খাল দূষণ ও দখল বন্ধে আদালতের দেয়া আদেশ যথাযথভাবে কার্যকর করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, হাইকোর্টের রায়ে তুরাগ নদী ও অন্যান্য নদীর জীবনসত্ত্বা ঘোষণা, নদী রক্ষা কমিশনকে অভিভাবক ঘোষণা, নতুন প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে নদী রক্ষা কমিশনের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ, ৩০ দিনের মধ্যে তুরাগ নদীর তীরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সকল নদীর ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় ও ডাটাবেজ তৈরি, নদী রক্ষা কমিশনকে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, নদী ও পরিবেশের ওপর টেলিভেশনে সপ্তাহে একদিন অনুষ্ঠান প্রচার করাসহ অন্যান্য নির্দেশনা দেয়া হয়, যা আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। এই রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলেই এ বছরের নদী দিবস সফলতা অর্জন করবে।