কুষ্টিয়া শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
আজ রোববার (৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে যারা মূর্তি এবং ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছে তাদের ওপর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, যুদ্ধাপরাধীদের প্রেতাত্মারা ভর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা তাদের উদ্দেশ্য না উল্লেখ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার মনে হচ্ছে, যারা মূর্তি এবং ভাস্কর্যের বিতর্ক শুরু করেছে এদের ওপর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, যুদ্ধাপরাধীদের প্রেতাত্মারা ভর করেছে।’
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, একাত্তর সালে তারা বলেছে যারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করবে তারা মুসলমান থাকবে না। তারা সেসময় এ দেশকে আটকাতে পারেনি। এদের বংশধররাই বলে এটা মূর্তি, এটা প্রতিমা। স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকারের বিরোধিতা করার জন্যই তারা এসব কথা বলে।
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘এদের ফান্ড কোত্থেকে আসতেছে, তারা টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে সে বিষয়টিও সরকার দেখছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে দাবি জানাবো, যারা এই ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
এছাড়াও যারা ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অধীনে আনা যায় কিনা সে বিষয়ে বিবেচনা করতে ব্যারিস্টার সুমন দলের সিনিয়র আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে এসময় কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, মাহফুজুর রহমান লিখন, নাসরিন সিদ্দিকা লিনা, মাসুদ আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান, অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস, অ্যাডভোকেট নুরুন্নাহার নুপুর, শাহলা শারাফাত, ফ্লোরা, কোহিনুর লাকি, সাবিনা ইয়াসমিন, জুলফিয়া আক্তার রিতা, চৈতালী চক্রবর্তী, যোবায়দা পারভিন, নিশাত ফারজানাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।