বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (ফাইল ছবি)

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর প্রতিবেদন আদালতে দাখিল

পুলিশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন গুলশান থানা পুলিশ।

আজ নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, অ্যাডভোকেট হান্নান ভূঁইয়াসহ অনেকে।
গত ১৮ মার্চ এ মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর বিষয়টি আইনজীবী আদালতকে অবহিত করেন। আদালত গুলশান থানাকে এ বিষয় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে ২ মার্চ দীর্ঘ ১৩ বছর পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলার আংশিক অভিযোগ গঠন শুনানি হয়।

জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন