কুমিল্লার সদর দক্ষিণে মাদক, ডাকাতি ও দস্যুতাসহ ২৩ মামলার আসামি নাদিম (৩৫) প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার সোয়াগাজী পশ্চিম জোড়কানন ইউনিয়নের বাটপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) বাটপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত নাদিমের পরিবারের সঙ্গে রাজনৈতিক, সম্পত্তি, মাদক, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল পাশের কয়েকজন প্রতিবেশীর। এসব বিরোধের জেরে শুক্রবার ১৫-১৬ জন ব্যক্তি হঠাৎ বসতঘরে ঢুকে নাদিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত নাদিমের নামে সদর দক্ষিণ থানায় মাদক, ডাকাতি ও দস্যুতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক কারবার নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলছে নাদিমের। এরই মধ্যে কয়েক দিন আগে এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। বিরোধীপক্ষের ধারণা, নাদিমের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাব। এ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে নাদিমের নতুন করে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এরই জেরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় নাদিমের বাসায় ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় আহত হন নাদিমের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় নাদিমের।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক, সম্পত্তি, মাদক, আধিপত্য বিস্তারসহ একাধিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুনের ঘটনায় ওই এলাকার ফারুক, এরশাদ, রুবেল, রিপন, খোকা, আলামিন, বেলালসহ সাত-আট জন জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। মরদেহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’