আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

রোজিনা ইসলাম শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন : আইনমন্ত্রী

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদল রাজধানীর গুলশানের আইনমন্ত্রীর অফিসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আশ্বাস দেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল আজ রাত নয়টার দিকে আইনমন্ত্রীর অফিসে যান।

সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএসআরএফের অর্থ সম্পাদক মাসুদুল হক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, নিঃশর্ত মুক্তি এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে জামিনের জন্য আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এসব দাবি জানানোর পর আইনমন্ত্রী আশ্বাস দেন রোজিনা ইসলাম শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন, কোনো অবিচার করা হবে না। এ ছাড়া কারাগারে এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে রোজিনা ইসলামের কোনো অসুবিধা না হয় সেটিরও নিশ্চয়তা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

সাক্ষাৎ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে সাক্ষাতের বিষয়বস্তু ও দাবির কথা তুলে ধরেন।

পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুধু এইটুকু বলব, এ রকম একটি ঘটনায় সরকার ও সাংবাদিকদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হোক—এ রকম কোনো সন্দেহ যদি থাকে, তাহলে সরকার সেটি দূর করার চেষ্টা করবে। পরশুদিন বোধ হয় জামিনের শুনানি আছে, সেটি আদালত দেখবেন, সবকিছু বিবেচনা করবেন। তবে এটুকু বলতে পারি অবশ্যই তিনি (রোজিনা ইসলাম) ন্যায়বিচার পাবেন।’

গত ১৭ মে (সোমবার) পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও দেওয়া হয়নি। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। ওই দিন রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে দেন। পাশাপাশি রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।