শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজুর মাত্র ২০ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। স্বল্প সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতার, মামলার আলামত উদ্ধারসহ সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও পেশাদার পদক্ষেপে এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া জেলায় এত দ্রুত সময়ে ধর্ষণ মামলার চার্জশিট এটিই প্রথম বলে জানিয়েছেন ওসি রশীদুল বারী।
পুলিশ জানায়, উপজেলায় ১৪ বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে মহিষার ইউনিয়নের পম-সাজনপুর দারুসসালাম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসানের (৩৮) বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
বাদী জানান, তার ভাগ্নে প্রথমে এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কিছু জানায়নি। পরে তাকে চাপ দেওয়া হলে সব ঘটনা খুলে বলে। পরিবারের লোকজন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানায়। তবে কর্তৃপক্ষ ভিকটিমের পরিবারকে চাপ দিয়ে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় গত ১২ জুন স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সংঘর্ষ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে। পরে ভিকটিমের মামা বাদীর দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে ভেদরগঞ্জ থানায় ১৩ জুন সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরবর্তীতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, মামলার পর শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান ভেদরগঞ্জ থানার ওসিকে দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ভেদরগঞ্জ থানার এসআই রিপন রায়কে মামলা তদন্তের ভার দেওয়া হয়। মামলা রুজু হওয়ার ২০ ঘণ্টার মধ্যে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি।
ভেদরগঞ্জের ওসি রশীদুল বারী জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে আসামিকে গ্রেফতারের পর দ্রুততম সময়ে মাত্র ২০ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সম্ভবত ধর্ষণ মামলায় এটিই জেলায় স্বল্প সময়ে দেওয়া চার্জশিট, যোগ করেন তিনি।