করোনাকালে ঘরে বসে আদালত পরিচালনার কারণে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আপিল বিভাগ। এজন্য আগামী ৮ আগস্ট ওই আইনজীবীকে তলব করেছেন আদালত। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে তিনি দেশের কোনও আদালতে প্রাকটিস করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ওই আইনজীবীর ফেসবুক পোস্ট আপিল বিভাগের নজরে আনার পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চের এসব আদেশ দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘একটি বিষয় আপনাদের নজরে আনতে চাই। একজন আইনজীবী প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।’ এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো.আশরাফুল ইসলাম আশরাফের ফেসবুক পোস্ট পড়ে শোনান।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি যত সিদ্ধান্ত নেই তা একা নেই না। সিনিয়র জাজদের সাথে আলাপ করে নেই। গতবার প্রথম যখন কোর্ট খুলেছি (করোনার মধ্যে) তখন আমাকে অকথ্য ভাষায়…। আর সব সময় বার সভাপতি, সেক্রেটারির সঙ্গেকথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এসময় আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা আইনজীবীর ওই পোস্টের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বেঞ্চের অপর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসময় বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল, আমাদের (বিচারপতিদের) ফেসবুক পরিচালনার জন্য নীতিমালা আছে। দেখেন, আপনাদের আইজীবীদের এরকম নীতিমালা করা যায় কিনা। আর আমাদের ছুটি (অবকাশকালীন) নিয়ে লেখা হয়। কিন্তু আমরা তো বছরের শুরুতে এটা নির্ধারণ করি। ফুল কোর্ট সভা করে এটা করা হয়। আর এখন কমিয়ে বছরে ৬০ দিনের মত ছুটি। আর আমরা ছুটিতে বসে থাকি না, তখনও কাজ করি, আমরাও মানুষ। ‘
এরপর আদালত ফেসবুকে পোস্টদাতা আইনজীবীকে তলবের আদেশ দেন।