চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ওই দিন দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি পদের মেয়াদ ৬৭ বছর পর্যন্ত।
বিচারকের পদের মেয়াদ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক সাতষট্টি বৎসর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।’
প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বর্তমানে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্যরা হলেন—বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোস্তফা আলী এবং মা বেগম কাওসার জাহান।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শিক্ষা জীবনের কেটেছে কুমিল্লা শহরে। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৮০ সনে কুমিল্লা আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়াও তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ‘কমনওয়েলথ ইয়াং ল ইয়ার্স কোর্স’ সম্পন্ন করেন।
তিনি ১৯৮১ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। একই বছর জেলা জজ আদালতে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পান।
এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপীল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্বপালনকালে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।