প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সোনাগাজী শাখার তিন কর্মকর্তাকে ৩১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ফেনীর একটি আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ২৮ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
ফেনী জেলা জজ আদালতের স্পেশাল জজ এ এন এম মোর্শেদ আলম সোমবার (১৫ নভেম্বর) এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ও সহকারী অফিসার মো. মিজানুর রহমান।
আদালতে দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কাশেম। আর আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন ও মো. আব্দুল হক।
পিপি আবুল কাশেম জানান, ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ৪০৯, ৪২০, ৪৭১ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর ২ ধারায় এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ২৮ লাখ করে মোট ৮৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালতের বিচারক।
আাদলত সূত্র জানায়, ওই তিন কর্মকর্তা সরকারি খাতে জমা হওয়া ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সঙ্গে ফেরত আসা পে-অর্ডার নিজেদের কাছে রেখে পরস্পরের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদক তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমানকে।
এ রায় বাংলাদেশের সব দুর্নীতিবাজদের জন্য একটি বার্তা। এ রকম রায়ের মধ্যদিয়ে দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাবে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এমন রায়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।