ধর্ষকদের দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সংসদে একটি নতুন আইন পাস করা হয়েছে। এই আইনে গণধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্তদের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
তবে বহুল আলোচিত ধর্ষকদের ‘ওষুধ প্রয়োগ করে খোজা করে দেওয়ার’ ধারাটি বাতিল করা হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের দ্রুত বিচারের জন্য পাকিস্তান সরকার দেশজুড়ে বিশেষ আদালত স্থাপন করবে। চারমাসের মধ্যে এসব বিচার শেষ করার টার্গেট থাকবে।
পাকিস্তানে সম্প্রতি নারী ও শিশু ধর্ষণ বেড়েছে। ফলে এ ধরনের কঠোর আইন পাস করা হয়েছে। গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, শরীরে রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষকদের খোজা করে দেবার আইন প্রণয়ন করতে চান তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, পাকিস্তানের ইসলামিক মতাদর্শিক কাউন্সিলের মত অনুযায়ী, রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে খোজা করার বিষয়টি ইসলাম-সম্মত নয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে সংসদে বিধানটি বাতিল করা হয়েছে।
তবে নতুন আইনে ধর্ষণের শাস্তি আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে খোজা করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও আপত্তি তুলেছিল।