বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ বিচার বিভাগের জন্য হুমকিস্বরূপ: হাইকোর্ট
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করার অভিযোগে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে তারা হলেন- ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের সহকারী ভূমি কমিশনার এবং সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা। ’

পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী বাকির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত সেই আদেশ মতো প্রতিবেদন না দেওয়ায় আদালতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আবেদন করি। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।