আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এটি পরীক্ষা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। এজন্য সময় চেয়েছেন তিনি।
এদিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বৈঠকটি শুরু হয়। এর আগে, দুপুর পৌনে ২টায় স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে পৌঁছান ১৫ সদস্যবিশিষ্ট বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্মারকলিপিতে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১{ ১} এর ধারা মতে সরকার যেকোনো সময় শর্তহীনভাবে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে বা ৪০১ এর ৬ উপধারা মোতাবেক বিশেষ আদেশ দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে।
স্মারকলিপি পড়ে সেটা আইনমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব মো. ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি তারা পরীক্ষা করবেন এবং এ নিয়ে আলোচনা করবেন। যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন বিএনপির নেতারা। তবে সরকারের তরফ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। কারণ তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার এখন যে অবস্থা তাতে দেশে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুযোগ নেই।