ত্রাণের পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত আসামির আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। আপিল দায়েরের ৫০ বছর পর সম্প্রতি হাইকোর্ট আপিলটি নিষ্পত্তি করেছেন।
ইতোমধ্যে আসামি মারা যাওয়ায় হাইকোর্টে থাকা আসামির আপিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আসামির অর্থদন্ড মওকুফ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিক ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে সিলেটের চুনারুঘাটের ইউপি সদস্য ছিলেন সাফাত উল্ল্যাহ। রিলিফের পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালে দুর্নীতির মামলা করা হয়।
এরপর ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনস্ত সিলেটের স্পেশাল জজ সাফাত উল্ল্যাহকে ২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ ও ৩৫২ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। সাজার রায়ের পরপরই তিনি হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির আগেই ১৯৮৯ সালে মারা যান তিনি।
ওই আপিল দায়েরের দীর্ঘ ৫০ বছর পর চলতি বছর মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। তখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটিতে পক্ষভুক্ত হয়।
সম্প্রতি মামলাটিতে দুদকের পক্ষ থেকে শুনানি করা হয়। শুনানিতে উঠে আসে সাফাত উল্ল্যাহকে মূলত ভুল ব্যক্তিকে দিয়ে আইডেন্টিফাই (সনাক্ত) করা হয়েছিল। এছাড়া আপিলকারী আসামি মারা যাওয়ায় হাইকোর্টে থাকা তার আপিলটি অ্যাবেইট (বাতিল) হয়ে গেছে। পাশাপাশি আদালত আসামির অর্থদন্ডও মওকুফ করে দিয়েছেন।