মিনহাজ চৌধুরী: নগরীর সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ঝোপঝাড়ে ভুতুড়ে বাড়ির মতো এই বাড়িটিই চট্টগ্রামের প্রথম আদালত ভবন। নাম ছিলো ‘দারুল আদালত’। ইতিহাসবিদদের মতে, বয়স প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছর। নির্মাণ করেছিল পর্তুগিজরা। স্থানীয়ভাবে এটিকে বলা হয় পর্তুগিজ ভবন।
ইতিহাস পড়ে জানা যায়, একসময় এখানে ছিল বিস্তর জনসমাগম। চত্বরে ছিল বিচারপ্রার্থীদের আসা-যাওয়া। অথচ কালের বিবর্তনে ভবনটি এখন সাপ-খোপের আস্তানা। ঝোপঝাড়ে ঢাকা পড়েছে ভবনটির সুউচ্চ পিলারগুলো। সুপ্রাচীন ভবনটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও চিঠি চালাচালিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে পরিত্যক্ত এ ভবনকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা।
এ ভবন থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে একটি সুড়ঙ্গপথ ছিল। এ শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় সুড়ঙ্গটি সিলগালা করে দিয়ে চলে যায় তারা। পর্তুগিজ জলদস্যুরা তাদের লুট করা বিভিন্ন মালপত্র সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে এনে এখানে জমা রাখত। এখানে পর্তুগিজদের আমোদ-প্রমোদের জন্য একটি প্রমোদশালাও ছিল। প্রতি রাতে সেখানে নাচ-গানের আসর বসত।
ভবনটির আশপাশে আরও কয়েকটি ভবন ছিল, যেগুলোর কোনো অস্তিত্ব এখন আর নেই। কিন্তু এ তথ্যের সঙ্গে একমত হতে পারেননি অনেক ইতিহাসবিদ। তাদের মতে, ইংরেজরাই এ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। কারও কারও মতে, ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত ঔপনিবেশিক আমলের প্রথম স্থাপনা ছিল এ দারুল আদালত।