ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আইনজীবীরা। সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে ডা. মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।
একইসঙ্গে এমন মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়। অন্যথায় ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে আইনজীবী সমিতির ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার কাজল বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও ব্যক্তিগতভাবে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। অত্যন্ত মেধাবী এই আইনজীবী বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।’
ভবিষ্যতে ব্যারিস্টার জাইমা দেশে আইন পেশায় মনোনিবেশ করবেন প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সে হিসেবে তিনি আমাদের আইন পরিবারের সদস্য।’
তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল এক প্রতিমন্ত্রী তরুণ এই ব্যারিস্টার সম্পর্কে যে লাগামহীন মন্তব্য করেছেন তা কেবল নিন্দনীয়ই নয়, সর্বদা পরিত্যাজ্যা। তার এই মন্তব্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিশেষ করে নারীদের জন্য চরম অবমাননাকর।
ব্যারিস্টার কাজল আরও বলেন, ‘অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিভিন্ন ব্যক্তি, বিশেষ করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সম্পর্কে লাগামহীনভাবে মন্তব্য করেই চলেছেন। এমনকি তিনি দাবী করে থাকেন তিনি যা বলেন তা সংবিধান অনুসারে বলেন।’
‘অথচ মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছেন তা তিনি তার নানবিধ বিতর্কিত কর্মকান্ড ও বক্তব্যের মাধ্যমে ক্রমাগত লঙ্ঘন করে চলেছেন। জাতি হিসেবে এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার। প্রতিমন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এমন অযাচিত মন্তব্য জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্কিত করে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সহসম্পাদক মাহমুদ হাসান। এছাড়া সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ইফতেখান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট পারভিন কাউসার মুন্নি ও ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।