সংসদ সদস্য, পলিটিক্যাল পারসন ও হাই অফিসিয়ালদের সম্পত্তি কেনায় সতর্ক থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এদিন দুর্নীতির মামলা বাতিলে সাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুকের স্ত্রী কানিজ ফাতেমার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফলে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে আদালত এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
এসময় আদালত বলেন, সংসদ সদস্য, পলিটিক্যাল পারসন ও হাই অফিসিয়ালদের সম্পত্তি কেনায় আরও সতর্ক থাকা উচিত।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ইয়ারপুর মৌজায় সরকারি খাস জমি হতে ভুয়া দানপত্র দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাৎ করার ঘটনায় তৎকালীন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের ৩০ মে সেনবাগ থানায় কানিজ ফাতেমাসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে দুদকের উপ-পরিচালক নিরাপদ স্বর্ণকার ২০১৫ সনের ১৮ জানুয়ারি আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১৯ মার্চ আদালত সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
পরে তিনি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।