যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০২১ এর খসড়া আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মন্ত্রীর কাছে আইনটির খসড়া হস্তান্তর করেছে।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) এ খসড়া হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমাদের দেশে এখনো বাকস্বাধীনতা আছে, বিচার বিভাগ স্বাধীন।
তিনি বলেন, ‘বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট ও শ্রদ্ধাশীল। আমরা উন্নয়নের রোল মডেল। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানবাধিকারের বিকাশ ঘটাতে হবে।
এছাড়াও মন্ত্রী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সকল সমালোচনার সামনে অবিচল থাকার আহ্বান জানান।
মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেন, মানবাধিকার মানে কী শুধু গুম খুনের বিচার চাওয়া? নারীর অধিকার, কর্মের অধিকার মানবাধিকার নয়? কমিশন আইনে বলা আছে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে, “মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং মানবাধিকার বৃত্তির শুভ উদ্বোধন করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০০ জন আগামী দুই বছর প্রতি মাসে ২০০০ টাকা করে পাবেন।
এছাড়াও মেডেলপ্রাপ্ত ৩৪৭ জন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার হিসেবে এবং মানবাধিকার বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০০ জন হিউম্যান রাইটস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কজ করবেন।