বরগুনাগামী অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। সেই সাথে মানবাধিকার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিও জানানো হয়েছে।
ব্লাস্টের কমিউনিকেশন বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝালকাঠির মাঝ নদীতে যাত্রীবাহী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় শতাধিক দগ্ধ হয়েছেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। লঞ্চে প্রায় হাজারের অধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি নদীর তীরের দিয়াকুল গ্রামে এলাকায় ভেড়ানো হয়। লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত দেশে নৌপথে লঞ্চডুবি, অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন কারণে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা পর্যালোচনায় দেখা গেছে নৌযান মালিক, পরিচালনাকারী এবং তদারকী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর লঙ্ঘন হয়ে আসছে। অভিযান-১০ লঞ্চের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৫৬ ধারায় বিস্ফোরণ, আগুন ইত্যাদির বিরুদ্ধে যে সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যত্যয় ঘটেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে ব্লাস্ট হতাহতের এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ, দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্লাস্টের দায়েরকৃত এমভি নাসরিন লঞ্চ ডুবির মামলায় (মামলা নং ৩৪৪/২০০৮) আদালত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ধারা ৩৩ এর অধীনে সার্ভে সনদ ব্যতীত নৌযাত্রা নিষিদ্ধ করা এবং ধারা ৫৮ (ক) অনুযায়ী বীমা অথবা নৌ দুর্ঘটনা ট্রাস্ট ফান্ড ব্যতীত নৌযাত্রা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তদারকী কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে ব্যাপারে জোর দাবি জানানো হয়েছে।