ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলা করা হয়েছে। সেই সাথে দুর্ঘটনার মামলা হওয়ায় আইন অনুযায়ী লঞ্চটির ফিটনেস সনদ, নিবন্ধন ও মাস্টার-চালকদের সনদ স্থগিত করা হবে। নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আজ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে মামলা করেন। মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নৌআদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বেল্লাল হোসাইন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন লঞ্চটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আাহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। এছাড়া লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালামও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের নামে অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধনী ২০০৫)–এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসব ধারায় বর্ণিত অপরাধ হচ্ছে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র না থাকা, জীবনরক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিনকক্ষের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই অনেক ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখা।
জানা গেছে, অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ ঘটনায় মৃত্যুজনিত দায় নির্ধারণ করে সম্পূরক মামলা করা হবে।