আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আবার বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী করদাতারা আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনবিআর থেকে জানানো হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ২০২১-২২ করবর্ষের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২। জরিমানা পরিহারের লক্ষ্যে ২ জানুয়ারির মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০২১-২২ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এর আগে চট্টগ্রাম চেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সময় বাড়ানোর দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, বার বার রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে ২০১৬ সালে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবসে রিটার্ন দাখিল শেষদিন নির্দিষ্ট করা হয়। এ নিয়ে সে বছরই সংসদে আইন পাস হয়।
রাজস্ব বোর্ড বলছে, দেশে কোনো মহামারি কিংবা দুর্যোগ পরিস্থিতি হলে সরকারের বিশেষ ব্যবস্থায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমণের মধ্যে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৮৪ জি ধারার ক্ষমতাবলে আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা দিতে হয়। তবে, জরিমানা এড়াতে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
করোনার কারণে চলতি বছর আয়কর মেলা না হলেও এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেওয়ার সুবিধা রাখা হয়। প্রতিটি কর অঞ্চলে জোনভিত্তিক বুথ, ই-টিআইএন ও তথ্যসেবা বুথ খোলা হয়।