রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম (ফাইল ছবি)
রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম (ফাইল ছবি)

প্রতারণা মামলায় সাহেদের বিচার শুরু

প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হল।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজ ও রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শিপন আলী।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট দবির উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়। বালু ব্যবসায়ী এস এম শিপন উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ৮ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আকরাম হোসেন।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, শিপন আলী ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ৫০ লাখ সিএফটি বালু সরবরাহের অর্ডার করেন। শিপন আলী বাদীকে পূবালী ব্যাংকের তিনটি চেক দেন। এদিকে অর্ডার অনুযায়ী এস এম শিপন ৬১ লাখ টাকার বালু সরবরাহ করেন। পরে চেকগুলো ব্যাংক থেকে ডিসঅনার হয়। শিপন আলীর কাছে বাদী বিল দাবি করেন। দেই, দিচ্ছি বলে তাকে ঘুরাতে থাকে। পরে শিপন আলী জানান রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজের নির্দেশে বালুর অর্ডার দেন।

এরপর ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাকা চাইলে সাহেদ ও মাসুদের কাছে বাদীকে নিয়ে যান শিপন। সেখানে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে প্রাণে শেষ করে দেওয়ার হুমকিও দেন। তখন বাদী নিশ্চিত হন তারা সবাই প্রতারক। বাদী বুঝতে পারেন তারা বালু বিক্রির ৬১ লাখ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন।