দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ মামলা দায়ের করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্ত করে আগামী ১৫ মার্চ রিপোর্ট দিতে বলেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর এবং ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনের অ্যাডমিন, বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্তুতকারী ও টেকনিশিয়ান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটা অনলাইনেও দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি পিটিশন শুনানিতে অংশ নেন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর ‘এসব ষড়যন্ত্র কিসের আলামত, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামাতে তৎপর রাষ্ট্রবিরোধী চক্র আড়ালে রহস্যময় সিন্ডিকেট কারা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। ওই দিন বাংলা ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনও তাকে নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে লেখা প্রকাশ করে। আসামিরা ইচ্ছাকৃত ও জ্ঞাতসারে আপত্তিকর, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তার ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচার করে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩৫ ধারায় অপরাধ।