সাতক্ষীরা আদালতে পৃথক দুই বিচারক ও আইনজীবীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই আইনজীবীর ভূমিকা বিচার ব্যবস্থার প্রতি চরম অমর্যাদা বলে আদালত পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে।
জানা গেছে, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলামের আদালতে একটি মামলার আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক প্রদর্শন করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জিএম ওকালত আলী। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে একটি ধারার জামিন নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিতর্ক হয়।
একপর্যায়ে জিএম ওকালত আলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলামকে বিচারাসন থেকে নেমে যাওয়ার কথা বলেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নেমে যান। বেশ কয়েক মিনিট পর তিনি আবার আদালতে এসে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই পাশের আরও একটি জুডিসিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বন্যা খাতুনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয় সাবেক এপিপি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টুর। উভয়পক্ষের মধ্যে উচ্চবাক্য বিনিময় ঘটে। এ সময় একে-অন্যকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
একই সময়ে পাশাপাশি দুটি বিচারাদালতে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলাম ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বন্যা খাতুন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করেন।
একই সঙ্গে সব ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর পরপরই পুরো আদালতপাড়ায় শুরু হয় হট্টগোল। সব আদালতে বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিচার প্রার্থী বাদী-বিবাদী এবং সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্টরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বলেন, দুটি ঘটনা সম্পর্কে আমি অবহিত হয়েছি। কেবলমাত্র কিছু উচ্চবাক্য বিনিময়ের কারণে এমনটি হয়েছে। বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।