রায়পুরে প্রতারণা মামলার আসামীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় বাড়ি নির্মাণের খরচ বাবদ সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধে কালক্ষেপণ করায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় এক আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার (১৩ মার্চ) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রায়পুর আমলী অঞ্চলের বিচারক তারেক আজিজ জনির আদালতে মামলার একমাত্র আসামি বাহার হুসাইন হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে। আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আসামিপক্ষে জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মুন্সি, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মাহমুল ইসলাম সুজনসহ প্রমুখ আইনজীবী।

অপরদিকে বাদী পক্ষে আসামির জামিন বিরোধীতা করেন অ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহ বিপ্লব, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন মৃধা, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট এম এ জেড ফরিদ উদ্দিনসহ প্রমুখ আইনজীবী।

এসময় উভয়পক্ষ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সন্তুষ্টি চিত্রে আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মো. মোরশেদ ইসলাম মোরশেদ বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল রায়পুর আদালতে বাহার হুসানকে বিবাদী করে (সি.আর ৫০৭/২০) মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলা আমলে নিয়ে আদালত রায়পুর থানার ওসিকে তদন্তের আদেশ প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ও আসামি পরস্পর বন্ধু। সেই সুবাদে আসামি বাহার হুসান মামলার বাদী মো: মোরশেদ আলম মোরশেদকে আসামির দো-তলা বাড়ি নির্মাণের জন্য যাবতীয় দায়-দায়িত্ব অর্পণ করেন।

সেই হিসেবে উক্ত মামলার বাদী আসামি বাহার হোসাইনের দো-তলা বাড়ি নির্মাণে প্রায় ৪৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন।

কিন্তু আসামি বাহার হুসাইন উক্ত মামলার বাদীকে ৪২ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। বাকী ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আসামি বাহার হুসাইন পরিশোধ না করে কালক্ষেপণ করেন।

পরবর্তীতে উক্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে একটি সালিশ বৈঠক হয় উক্ত সালিশ বৈঠকে বাদি আসামির কাছে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওনা হওয়ায় তাৎক্ষণিক সালিশ বৈঠকে আসামি ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা বাদিকে পরিশোধ করেন।

বাকি ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দুই মাসের ভিতরে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত থাকলেও আসামি বাদির ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ না করে এবং বাদীর সহিত কোনরূপ যোগাযোগ না করে উক্ত মামলার আসামি ওমান চলে যান যার কারণে বাদী উক্ত মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে মামলার আসামি উক্ত বাড়ী গত ০১/০২/২০২১ইং হতে আগামী ৩১/০৫/২০২৫ ইং পর্যন্ত আগামী ০৫ বৎসরের জন্য তানজিমুল উম্মা ইসলামী একাডেমীর পক্ষে উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল বিল্লাল সহিত চুক্তি বলবৎ থাকা অবস্থায় তাহজিমুল উম্মা ইসলামী একাডেমীর শিক্ষক আলা উদ্দিনের সহিত প্রতারণামূলক চুক্তি সম্পাদন করে যা আইন বর্হিভূত। উক্ত বিষয় নিয়ে রায়পুর পৌরসভার অভিযোগ চলমান।