সম্পদের রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা নিশ্চিত করতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

দখল স্বত্ব আইন পরিবর্তন হবে, দলিল যার জমি তার: ভূমিমন্ত্রী

মিউটেশন (নামজারি) থেকে শুরু করে ভূমি সংক্রান্ত আরো অনেক সেবা অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, ভূমি দখল স্বত্ব আইনও পরিবর্তন করব। দলিল যার জমি তার। আমরা চাচ্ছি মানুষ যেন ঘরে বসেই সেবা পেতে পারেন। এলডি (ভূমি উন্নয়ন) ট্যাঙ এখন অনলাইনে দিতে পারছেন। মিউটেশনের ক্ষেত্রে ট্র্যাক করি।

দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শনিবার (১৯ মার্চ) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এম এ মালেকের একুশে পদকপ্রাপ্তিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এ সংবর্ধনা প্রদান করে। 

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামবাসী হিসেবে অবশ্য গর্ববোধ করতে পারবেন। চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছি। যদিও এটা আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। দায়িত্ব নেয়ার সময় বলেছিলাম, বাংলাদেশের টপ টেন মিনিস্ট্রি করব। আল্লাহর রহমতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে টপ থ্রিতে আনতে সক্ষম হয়েছি।

ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্নীতি রোধে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জিরো ট্রলারেন্স। একসময় এ মন্ত্রণালয় নিয়ে নেতিবাচক ধারণা ছিল। কর্মদক্ষতা কম এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে ‘ফালতু’ অফিসারগুলোকে বদলি করা হতো ভূমি মন্ত্রণালয়ে। কারণ কী? এখানে দুর্নীতি হতো। যারা এখানে কাজ করত তারাও কমফোর্ট ফিল করত না। কোন মন্ত্রণালয়ে কাজ করছে জিজ্ঞেস করলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কথা বলতেও স্বস্তিবোধ করত না। বরাবরই ইমেজ সংকটে ছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। যখন আমি প্রথম দায়িত্ব নিই তখন আমারও অস্বস্তি লাগত। কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি। আজ এ মন্ত্রণালয়কে সততার একটা জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে এখনো অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। তাই চিন্তা করেছি এদের সঙ্গে আর কথা বলে সময় নষ্ট করব না। তাই সিস্টেম ডেভেলপ করছি। সিস্টেমের উন্নতি হলে অটোমেটিক সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি অফিসারদের মাইন্ড সেট চেঞ্জ করার চেষ্টা করছি। ভালো ভালো এবং সৎ অফিসারদের নিয়ে আসছি, যাতে তারা কমফোর্টভাবে কাজ করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই মানুষকে কীভাবে কমফোর্ট জোনে রাখা যায়। প্রধানমন্ত্রী একটা কথা বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবক হয়ে থাকতে চাই’। আমিও চাই ভূমি মন্ত্রণালয় মানুষের সেবক হয়ে থাকুক। মানুষ ভূমি অফিসে না গিয়ে অনলাইনে বসে যেন ম্যাক্সিমাম কাজ সারতে পারে।

তিনি বলেন, ভূমি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাইরে, আইন মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়ায় সমন্বয়ের অভাবে এখনো মানুষের একটু ভোগান্তি হচ্ছে। যখন পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক হয়ে যাবে, তখন এই সমস্যাও দূর হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস। এ সময় সংবর্ধিত অতিথি এম এ মালেক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অবস্থান এক নম্বর হবে।