ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার (ইজিবাইক)
ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার (ইজিবাইক)

শুধু মহাসড়কে চলতে পারবে না ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক: সুপ্রিম কোর্ট

স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর ব্যাটারিচালিত ৪০ লাখ অবৈধ থ্রি হুইলার (ইজিবাইক) চিহ্নিত করে বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। শুধু মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলতে পারবে না। তবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সড়কে বৈধ ইজিবাইক চলতে বাধা নেই। 

আমদানিকারকের পক্ষে করা আপিল আবেদন শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে এগুলো আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ সংক্রান্ত রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে আদেশে কতদিনে কোন আদালতে সেটি শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও মনিরুজ্জামান আসাদ।

এর আগে নবাবপুরের বাংলাদেশ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশননের পক্ষ থেকে এ আপিল আবেদন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি হাজি কামাল উদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান সামাদের নেতৃত্বে আট ব্যবসায়ী হাইকোর্টে ইজিবাইক নিয়ে দেওয়া রায়ের মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে আপিল আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশের এসিড ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসব ইজিবাইক আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১৩ ডিসেম্বর রিট দায়ের করেন বাঘ ইকো মোটরসের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলাম। রিটে শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, পরিবেশ সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।

ওই ‍রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এনবিআরে রিটকারীর করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আদালত।

সেদিন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এই ইজিবাইকগুলো অবৈধভাবে বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ দেয়। যা থেকে সরকার কোনো অর্থ পায় না। এছাড়া এগুলো পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।