প্রদীপ–চুমকি দম্পতির দুর্নীতির মামলার রায় ২৭ জুলাই
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ

ওসি প্রদীপের স্ত্রী কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২৩ মে) তিনি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ তার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হকের সহকারী অ্যাডভোকেট সাকিব গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে আইনজীবীরা জেরা করেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সাকিব।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা ‘ওসি প্রদীপ’ ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন ও আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। তদন্ত শেষে গত বছরের ২৬ জুলাই মো. রিয়াজ উদ্দিন ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন।

এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ পর্যন্ত মামলায় ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ বর্তমানে কারাগারে আছেন। তার স্ত্রী এতদিন পলাতক ছিলেন।